সিলেটে নিজ উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লার বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ

জামায়াত সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল : মাওলানা হাবিবুর রহমান

‘জামায়াত সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা আচরণবিধি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর শুরু হয়েছে।’

এমজেএইচ জামিল, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেটে নিজ উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লার বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করছেন মাওলানা হাবিবুর রহমান
সিলেটে নিজ উদ্যোগে দাঁড়িপাল্লার বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করছেন মাওলানা হাবিবুর রহমান |নয়া দিগন্ত

সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াত সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা আচরণবিধি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে দেশে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর শুরু হয়েছে।’

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বাদ জুমআ সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ এলাকায় নিজ উদ্যোগে বিলবোর্ড ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ওই কথা তিনি বলেন। এছাড়া তিনি শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন এলাকায় বিলবোর্ড-ব্যানার অপসারণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন।

মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে জামায়াত আমির ডা: শফিকুর রহমানও আমাদেরকে এই নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি নিজে উপস্থিত থেকে আমার বিলবোর্ড ও ব্যানার অপসারণ শুরু করেছি। আমাদের সর্বস্তরের জনশক্তিকে নিজ নিজ এলাকায় থাকা সকল বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনে দাঁড়িপাল্লার সকল বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করা হবে।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও সিলেট-১ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী ও শাহপরান পশ্চিম থানা আমির শাহেদ আলী প্রমূখ।

বিলবোর্ড অপসারণ ও গণসংযোগের সময় মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচনে শুধু নিজ দলের প্রতীকের বিজয় নয়, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটে ‘হ্যা’ কে বিজয়ী করতে হবে। এজন্য ভোটারদের মাঝে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’