ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয়তায় দুর্যোগ মোকাবিলায় আহ্বান মাসুদ সাঈদীর

সরকারের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতারাও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে দুর্যোগ ও জলবায়ু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব।

পিরোজপুর প্রতিনিধি

Location :

Pirojpur
জননেতা মাসুদ সাঈদী
জননেতা মাসুদ সাঈদী |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পিরোজপুর জেলা ইউনিটের আওতাধীন দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থা (ডিসিআরএম) বিভাগের সহযোগিতায় উপকূলীয় দুর্যোগ ও জলবায়ু হ্রাস কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘দুর্যোগ ও জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে ধর্মীয় নেতাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার সকালে উপজেলা হলরুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পিরোজপুর জেলা ইউনিটের সদস্য সচিব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জননেতা মাসুদ সাঈদী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও জনবহুল দেশ। প্রতি বছর বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, অতিবৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ঘরবাড়ি, ফসল, গৃহপালিত পশু-পাখি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটে, প্রাণহানিও হয়। সরকারিভাবে সতর্ক সংকেত ও নিরাপদ আশ্রয়ের নির্দেশনা দেয়া হলেও সচেতনতার অভাবে অনেকেই তা উপেক্ষা করে দুর্যোগের শিকার হন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম এবং ধর্মভীরু। ধর্মীয় নেতা, আলেম-ওলামাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। জুমার নামাজ, মিলাদ মাহফিলসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিপুল মানুষের উপস্থিতি থাকে। এসব সময়ে ইমাম ও ধর্মীয় আলোচকরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন। সরকারের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে দেশ বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে রক্ষা পেতে পারে।’

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি ধর্মীয় নেতারাও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে দুর্যোগ ও জলবায়ু হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব।’

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মদ আলী। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ধর্মীয় নেতা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।