গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়েছে। পাঁচজন নিহত হলেও চারজন নিহতের ঘটনায় ১৯ জুলাই রাতে পুলিশ মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে তোলা হয়েছে নিহত তিনজনের লাশ। এদিকে মামলার বিষয়ে কাউকেই জানানো হয়নি অভিযোগ পরিবারের।
১৬ জুলাই গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে সংহিংসতায় গুলিবিন্ধ হয়ে নিহত হয় পাঁচজন। এর মধ্যে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত রমজান মুন্সী ছাড়া বাকিদেরকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন ও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে করেনি কোনো মামলাও।
পুলিশ মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পৌর কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে রমজান কাজী, ইমন তালুকদার এবং ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তগীরের উপস্থিতিতে টুঙ্গিপাড়ার কবরস্থান থেকে সোহেল রানার লাশ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দীপ্ত সাহার লাশ হিন্দু ধর্মমতে সৎকার করা হয়।
গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা ভন্ডুল করতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী হামলা চালায়। পরে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দিনভর চলা সংঘর্ষে পাঁচ যুবক নিহত ও পুলিশ সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চার হত্যা মামলাসহ মোট আটটি মামলা হয়েছে। এতে আট হাজার ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১০ জনকে। তাদের মধ্যে দু’ শতাধিক আসামিকে বাইরের জেলার কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।