বিয়ের নাটক সাজিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে তিন কিশোরীকে পাচারের প্রস্তুতিকালে চীনা নাগরিকসহ দুইজনকে আটক ও তিন কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর এলাকার কমলপুর এলাকা থেকে ওই হাও (৩২) নামক এক চীনা নাগরিক ও কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সুখদেব পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হানিফ মিয়ার ছেলে ফরিদুল ইসলামকে (৩৪) আটক করা হয়। একইসাথে তিন কিশোরীকে উদ্ধার ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফরিদুল ইসলাম নামে ওই দালালের সহযোগিতায় চীনে নিয়ে যাওয়ার ও তার পরিবারকে ১ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ওই হাও নামের চীনা নাগরিকের সাথে নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর এলাকার কমলপুরের এক কিশোরীকে ঢাকায় বিয়ে দেয়া হয়। ওই কিশোরীটি গার্মেন্টকর্মী। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফরিদুল ওই চীনা নাগরিককে কিশেরীর পরিবারের সাথে দেখা করতে কেন্দুয়ায় নিয়ে যান। ওই সময় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার অপর এক কিশোরী এবং কেন্দুয়া উপজেলার গগড়া গ্রামের আরেক কিশেরীকে আনা হয়। তাদেরও চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। চীনা নাগরিকসহ তাদের গতিবিধি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে সেনাক্যাম্প ও থানায় সংবাদ দেয়া হয়। সোমবার ভোরে (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলার কমলপুরে উপস্থিত হয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ভিসা, পাসপোর্ট দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন। তখন ওই চীনা নাগরিক ও ফরিদুলকে আটক করা হয়। একইসাথে তিন কিশোরীকে উদ্ধার ও তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, সংবাদ পেয়ে সোমবার ভোরে উপজেলার কমলপুর থেকে তিন কিশোরীকে পাচারকালে এক চীনা নাগরিকসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কবল থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।