চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহতের আট দিন পর বাংলাদেশী যুবক শহিদুল ইসলাম শহিদের (৩৭) লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জীবননগর উপজেলার দৌলৎগঞ্জ-মাঝদিয়া স্থলবন্দর (সীমান্তের ৬৪/এম পিলার) এলাকায় তার লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এ সময় বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে স্বজনরা ছেলের লাশ গ্রহণ করেন।
এর আগে ২৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মাধবখালী বিওপির আওতাধীন ৭০ নম্বর পিলার পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরের তারকাঁটা বাউন্ডারি অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন শহিদুল ইসলাম শহিদ ও তার সহযোগীরা। এ সময় ভারতের মেটেরি ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে শহিদুল ইসলাম শহিদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলে বিএসএফ তাকে ভারতে নিয়ে যায়। সেখানে কৃষ্ণগর হাসপাতালে বিএসএফ তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
জীবননগর থানার তদন্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার দাস বলেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ হস্তান্তরের কথা থাকলেও বিএসএফ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাশ জীবননগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ লাশটি নিহতের পরিবারের কাছে সোপর্দ করে।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
হস্তান্তরের সময় বিএসএফ’র ৩২ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তা, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড: মকবুল হাসান, জীবননগর থানার ওসি রিপন কুমার দাস, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম পাকু ও শাহিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।



