কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় রেফাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মুখের ভেতরে পিস্তল ঢুকিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা লালন মন্ডল (৫০) নামে স্থানীয় এক চা বিক্রেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেফাজুল ইসলাম একই এলাকার জামাত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে রায়টা পাথরঘাটা এলাকার একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রেফাজুল ইসলাম। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী তাকে ঘিরে ধরে মুখের ভেতর পিস্তল ঢুকিয়ে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রেফাজুলের মৃত্যু হয়।
আহত লালন মন্ডলের বড় জামাই অনিক বলেন, ‘আমার শ্বশুর খুবই গরিব মানুষ। রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় চা বিক্রি করেন। পাশেই তার ছেলে মাছ ধরছিল। ঘটনার সময় ছেলেকে আনতে যাচ্ছিলেন। তখন তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।’
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আহত বক্তির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তার শরীরে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ধারণা করছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা ছিল। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।’



