‘হিন্দু–মুসলমান সবাই এই দেশের নাগরিক। তাই সবার অধিকার সমান, সবার নিরাপত্তা সমান—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কারও প্রতি বৈষম্য থাকবে না।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় বেতাগী পৌরসভার জেলেপাড়া দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) আসনের বিএনপি থেকে মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য বেতাগী পৌরসভার জেলেপাড়া দুর্গামন্দির প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম মনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযোদ্ধা বিমল চন্দ্র মিস্ত্রী'র সভাপতিত্বে চার শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ, তরুণদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুত্ববাদী সংস্কৃতি রক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায় অতীতে যেমন অবদান রেখেছে, ভবিষ্যতেও তেমনই থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে তাদের উপেক্ষা করা যাবে না। বিএনপি সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধর্মকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। বিএনপি কাউকে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভক্ত করতে চায় না।’
বক্তব্যে নূরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে দেশে একটি বিভক্তির রাজনীতি তৈরি করা হয়েছে—যেখানে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করা হয়। বিএনপি এই নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা বিশ্বাস করি—দেশ এগোবে যখন সব ধর্মের মানুষ সমানভাবে রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হলে বিএনপি কখনো চুপ করে থাকবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বেতাগীর প্রতিটি হিন্দু পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই—আপনাদের নিরাপত্তা, সম্পদ, ধর্মীয় উৎসব এবং সামাজিক সম্মান রক্ষায় আমাকে আপনারা পাশে পাবেন।’
অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বক্তারা বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেদের উপেক্ষিত মনে হওয়ায় তারা পরিবর্তনের জন্য নতুন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চান। বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্ব যে সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাতে তারা আশাবাদী।’



