ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন চুক্তির প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা জেলা উত্তর।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাদ আসর সাভার মডেল মসজিদের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জমিয়ত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী। প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম প্রবীণ আলেমে দ্বীন হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী বলেন, ‘দেশের ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর টানা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও উদ্বেগ সত্ত্বেও অন্তর্বর্তী সরকার ঢাকায় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন চুক্তিতে সই করায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নাগরিকদের মতামত ও উদ্বেগ উপেক্ষা করে কোনো স্পর্শকাতর ইস্যুতে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার এ সরকারের নেই। অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল না করলে জমিয়ত দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
তিনি আরো বলেন, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার অফিস সাধারণত যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলোতেই দেখা যায়। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধপীড়িত দেশ না হওয়া সত্ত্বেও এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক। সমকামী তথা এলজিবিটি ইস্যুটি মানবাধিকার কমিশনের দর্শন ও নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ধর্মীয়-সামাজিক মূল্যবোধ অবজ্ঞা করে একজন সমকামী ব্যক্তিকে এ দেশে জাতিসঙ্ঘের নতুন দূত নিয়োগ দেয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। এছাড়া আমাদের দেশে নারী ইস্যুর আড়ালে অভিশপ্ত এলজিবিটি সম্প্রদায় প্রকাশ্যে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে।’
মুফতি ফেরদাউস মাহমুদ ও মুফতি মারজানুল বারী সিরাজীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জমিয়ত ঢাকা জেলা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১ আসনের জমিয়তের প্রার্থী মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, সাভার থানা জমিয়তের সভাপতি ও ঢাকা-১৯ আসনে জমিয়তের সম্ভাব্য প্রার্থী মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, সাভার থানা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, আশুলিয়া থানা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন সাঈদ, মাওলানা বজলুর রহমান বাদশাহ, মুফতি মামুনুল হাসান গনীপুরী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বাস স্ট্যান্ডে শুরু হওয়া বিশাল মিছিল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে। এ সময় জমিয়ত নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয় গোটা এলাকা।