প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর ডিজিএফআই সদস্য পরিচয় দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছেলে রিফাতকে (১৯) অপহরণ ও তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবির চাঞ্চল্যকর ঘটনার একদিন পর (৮ এপ্রিল) বিকেলে অপহৃত যুবক রিফাতকে কসবা সীমান্ত থেকে উদ্ধারসহ এ পর্যন্ত নয় অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে তাদেরকে সোপর্দ করেছে নবীনগর থানার পুলিশ। এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিজিএফআই পরিচয় দেয়া আট জনকে নবীনগর থানায় আনা হয়েছে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত যশোর বিমান বাহিনীতে কর্মরত ইমরান হোসেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় কসবা থেকে বিমানবাহিনীর সাবেক সদস্য ও কসবা পৌর এলাকার মরহুম মিলন মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম রেজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নিজেকে ক্যাপ্টেন পরিচয় দিতেন।
এছাড়া খুলনা থেকে আব্দুর সামাদ সরদারের ছেলে জাহিদুর রহমান (৩৪), অছির উদ্দিনের ছেলে মো: তৈমুর রহমান (২৫), ইউসুফ আলী মোল্লার ছেলে আশরাফুল কবির (২৮), মোজাম্মেল বিশ্বাসের ছেলে মাসুম বিশ্বাস (৩২), কামাল মোল্লার ছেলে আলমগীর মোল্লা (২৮), জমির উদ্দিনের ছেলে মো: নয়ন অকোঞ্জী (২২)। ধীরাজ কুণ্ডের ছেলে রাজন কুন্ড (৩২)। নুর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল গফুর সরদারকে (৩৭) গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে লাউর ফতেহপুর গ্রামে প্রবাসী শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত নিজেদের ডিজিএফআই সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে দুর্বৃত্তরা পুলিশকে হুমকি দেয় এবং রিফাতকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা রিফাতের পরিবারের কাছে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার সেকেন্ড অফিসার ও দায়িত্বরত ইনচার্জ আবদুল মোনাফ বলেন, খুলনা থেকে গ্রেফতার হওয়া ডিজিএফআই পরিচয় দেয়া আট জনকে বুধবার রাতে নবীনগর থানায় আনা হয়েছে। আজ নয়জন অপহরণকারীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে।