শ্রীপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা খুন

মাগুরা জেলা যুবদলের সদস্য মিরান হোসেন মল্লিক প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েহাসপাতালে ছয়দিন চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেছেন।

Location :

Sreepur
নিহত মিরান হোসেন
নিহত মিরান হোসেন |নয়া দিগন্ত

শ্রীপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা

মাগুরা জেলা যুবদলের সদস্য মিরান হোসেন মল্লিক (৪৩) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ছয়দিন ঢাকা নিউরো সাইন্স মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে মারা গেছেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত মিরান হোসেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল গ্রামের মরহুম সুলতান মল্লিকের ছেলে। সে মাগুরা জেলা যুব দলের অন্যতম সদস্য এবং নাকোল রাইচরণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএস সি ৯৭ ব্যাচের ছাত্র। মিরানের পরিবারে তাবাসসুম( ৭), রোকাইয়া ( ৫) নামে দুই মেয়ে, স্ত্রী মারিয়া, মা, ভাইসহ আটজন সদস্য রয়েছে।

জানা গেছে, ঈদের আগের দিন ৩০ মার্চ ইফতারির পর রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় নাকোল মল্লিক পাড়া জামে মসজিদের আদায় করা টাকার হিসেব চেয়ে কমিটির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায় প্রতিপক্ষ স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি মেম্বার জামিরুল ইসলাম ধলা মেম্বর ও তার ছেলে ইমন মল্লিকসহ সেলিম মল্লিকের ছেলে মুন্না মল্লিক, জিন্না মল্লিক, শান্ত মল্লিকের ছেলে রবিউল ইসলাম (রবু) মাথায় আঘাত করলে মিরান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে মিরানের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। সজ্ঞাহীন অবস্থায় ছয়দিন পর সেখানে মিরানের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ঘাতকরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মিরানের মৃত্যুতে ঢাকা দক্ষিণ মহানগরের যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, মাগুর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগির হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা জাহিদ শোক প্রকাশ করেন এবং যুবদল সদস্য মিরান হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করে বিবৃতি দেন। এছাড়া পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মিরানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা, পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো: ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ কোনো মামলা করে নাই। মামলার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহতের স্ত্রী লাশের সাথে ঢাকায় অবস্থান করায় মামলা হতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। তিনি এলেই মামলা হবে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে উপজেলার নাকোল রাইচরন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষ স্থানীয় রায়নগর সম্মিলিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।