ক্ষুধা, দরিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসন মুক্ত করে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশের শ্রমিক সমাজসহ সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ময়দানে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন জামায়াত আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন আমির আলাউদ্দিন আল আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খাঁন সুমন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চন্দ্রগঞ্জ থানা সভাপতি কাউসার হামিদ, ও লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল কাদেরসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ইসলাম শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার সম্পর্কে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছে। পবিত্র কালামে হাকিমের সূরা জুমার ১০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অতঃপর যখন নামাজ পূর্ণ করা হবে, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়ো; আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, আশা করা যায় তোমরা সফল হবে।’
হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, ‘ফরজ ইবাদতগুলোর পরেই হালাল উপার্জন করা একটি ফরজ ইবাদত।’ শ্রমিকের অধিকার ও শ্রমগ্রহীতার কর্তব্য সম্পর্কে হাদিসে রাসূল (সা.)-এ এসেছে, ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন। আল্লাহ তা’আলা যার ভাইকে তার দায়িত্বে রেখেছেন; সে যা খাবে, তাকেও তা খাওয়াবে; সে যা পরিধান করবে, তাকেও তা পরিধান করাবে; তাকে এমন কষ্টের কাজ দেবে না, যা তার সাধ্যের বাইরে। কোনো কাজ কঠিন হলে সে কাজে তাকে সাহায্য করবে (মুসলিম, মিশকাত)।’ কিন্তু দেশে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকায় শ্রমিক সমাজ আজও অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত। তাই শ্রমিকসহ সকল শ্রেণির মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। তিনি সে স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক সমাজকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষ আর অপশাসন-দুঃশাসন ও স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী শাসনে ফিরে যেতে চায় না। কারণ, তারা স্বাধীনতার পর সুশাসন ও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তের নামে লুটেরাদের লুটপাট ও লাগামহীন জুলুমবাজি দেখছে। তাই তারা এখন পরিবর্তন চায়। কারণ, তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, অতীতের শাসকরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে নিয়েছে। তারা এখন দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে শরীক হতে চায়। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্নীতি ও ঘুষ করে করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে সকলকে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোসহীন থাকার আহবান জানান।



