উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আনন্দ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার মধ্যরাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আনন্দ মিছিল করে সকল পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি নোবিপ্রবির ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়। পরে শহীদ মিনার থেকে জুলাই স্মৃতি হল প্রদক্ষিণ করে শান্তিনিকেতন এবং পুনরায় ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আসে।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘নোবিপ্রবির অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলো’, ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাচি না’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘নোবিপ্রবিতে খবর দে, ছাত্রলীগের কবর দে’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আনন্দ মিছিলে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আরিফ বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আমাকে, আমার পরিবারকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে। আজ তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হলো। এ সিদ্ধান্তে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা চাই অতি শিগগিরই এ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করুক বং আওয়ামী লীগের সকলের বিচার নিশ্চিত করুক।’
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ বলেন, ‘গণহত্যারী ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের মাধ্যমে আবারো জুলাই ছাত্র -জনতার বিজয় এলো। জুলাই আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদের শিকল ভেঙে আজ আমরা আবার বিজয় অর্জন করলাম। যদিও ইন্টেরিম ফ্যাসিবাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে, কিন্তু আমরা চাই দল হিসেবে নাৎসি বাহিনীর মতো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হোক। এছাড়া আমরা ইন্টেরিমের কাছে দাবি জানাচ্ছি, খুব দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়ার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃত দেয়া হোক। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা হোক।’
বক্তব্যের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেরকে আবেগঘন হতে দেখা যায়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা মিষ্টি খাওয়ার মাধ্যমে এ আনন্দ মিছিল উপভোগ করে।