ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ১০০টি গ্রামের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এতে ধান, মরিচ, বেগুনসহ সবজি ক্ষেতগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টি, সংকুচিত কালভার্ট ও দীর্ঘদিন খাল সংস্কার না হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে মত স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মনোহরপুর, ধলহরাচন্দ্র, দুধসর, নিত্যানন্দনপুর, হাকিমপুর, আবাইপুর, কাঁচেরখোল, বগুড়া, ত্রিবেণী, মির্জাপুরসহ অসংখ্য গ্রাম বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ধসে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তা। পাইকপাড়া ও শেখরা বাজার এলাকায় সঙ্কুচিত কালভার্টের কারণে বেশ কয়েকটি গ্রামের কৃষিজমি পানিতে ডুবে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, পাইকপাড়া গ্রামের কালভার্টটি তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বেশকিছু গ্রামের মাঠের পর মাঠ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
টংবিলা গ্রামের কৃষক স্বপন সাহা জানান, শেখরা এলাকায় সংকুচিত খালের কারণে ১০ গ্রামের ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ দাস বলেন, ’এবার অতিবৃষ্টিতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে, কৃষকদের জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান খান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস জানান, পানিপ্রবাহ সচল রাখতে বাঁধ অপসারণ ও খাল সংস্কার করা হচ্ছে।