মেঘনার ভয়ংকর ছোবলের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভোলাবাসী

ভোলা প্রতিনিধি

Location :

Bhola
নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সবকিছু
নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সবকিছু |নয়া দিগন্ত

ভাঙা-গড়ার খেলায় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নসহ পাশের এলাকা। উজানের পানির চাপে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে মেঘনায়। এতে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদী পাড়ের মানুষজন।

জানা যায়, ইতোমধ্যে পানির চাপে ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাঠ-ঘাট, শত শত ঘর-বাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের।

এদিকে শনিবার (১০ মে) ভাঙন কবলিত শিবপুর ইউনিয়নের মাছঘাট ও সুইজগেট এলাকায় পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক।

এ সময় ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, নদীর ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। সামনে বর্ষাকাল, তাই পানির তীব্রতা ও স্রোত বাড়বে দ্বিগুণ। বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে অতি জোয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাব। বর্তমানে বেড়িবাঁধ থেকে নদী মাত্র এক শ’ ফুট দূরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙে যাবে। এ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে আছে সবাই।

এ বিষয়ে ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সুইচগেট পয়েন্টে যে মাছঘাট রয়েছে সেখান থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। নদী ভাঙনকে সাময়িকভাবে বিরত রাখার জন্য যা যা করণীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সে ব্যবস্থা করছে।

তিনি আরো জানান, জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আছে এবং এ ভোলা জেলার মানুষের সাথে রয়েছে। এছাড়া খাল খননসহ শিবপুরে যে সুইজগেটটি আছে সেটিকে আরো আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: হাসানুজ্জামান বলেন, ‘শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী। বেড়িবাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে চার কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ছয় কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িকভাবে ভাঙন রোধ করতে পারবো।