ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সঙ্ঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছে।
রোববার (২ অক্টোবর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা একই হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার বাজারে এই সঙ্ঘর্ষ হয়।
নিহতরা হচ্ছেন উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামের মুন্নাফ মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া এবং পৌর এলাকার আলমনগর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে হোটেলের কর্মচারী ইয়াছিন (২০)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গণি শাহ মাজার বাজারের এক হোটেলে শনিবার রাত ৯টার দিকে এলাকার কুখ্যাত ডাকাত মুন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে শিপন মিয়া (৩০) আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ একদল অস্ত্রধারী হোটেলটিতে গুলি করতে করতে ঢোকে। এতে শিপন মিয়া ও হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন (২০) ও নূর আলম (১৮) গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির আওয়াজে পুরো বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে মনেকের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধ লোকজন সশস্ত্র অবস্থায় গণিশাহ মাজারের অদূরে তালতলায় গিয়ে স্থানীয় এমরান হোসেন মাস্টারের অফিসে হামলা চালায়। পরে মনেকের সশস্ত্র লোকজনের ছোঁড়া গুলিতে এমরান মাস্টার (৩৮) গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মনেক ডাকাত ও তার ছেলে শিপনের পুরো এলাকায় একক আধিপত্য ছিল। ওই আধিপত্য নিয়েই থোল্লাকান্দি গ্রামের মাস্টারের ছেলে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শিপনকে শনিবার রাতে গুলি করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক বলেন, গুলিবিদ্ধ দু’জন ঢাকা মেডিক্যাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। ‘ঘটনাস্থলে পুলিশসহ চারটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে।



