ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

আরবি ভাষার মাদরাসায় আরবি শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা চর্চা করা উচিত

‘কে কোন দল করে আমরা তা দেখবো না, আমরা দেখবো মানুষের সততা, আন্তরিকতা, দক্ষতা, কর্মদক্ষতাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য।’

পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন |নয়া দিগন্ত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘মাদরাসায় আরবি শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার চর্চা করা উচিত। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য দেশ ও বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং তাদের বিশ্ব পরিমণ্ডলে আরো বেশি উপযোগী করে তুলবে।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে পটিয়া শাহচাঁন্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসার সভাকক্ষে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই এ ধরনের মাদরাসা থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উঠে আসুক, আরবি ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষা জানা থাকলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শিখলে ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, গবেষক, তথ্য-প্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন পেশায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে পারবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইংরেজি ভাষা জানা থাকলে শিক্ষার্থীরা আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইসলামের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামকে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।’

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে মাদরাসার ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্ররা আধুনিক সব ধরণের শিক্ষায় পারদর্শি হওয়ায় কেউ পিছে পড়ে নেই। সে কারণে আমাদের সকল মাদরাসায় ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞানাজর্ন ও দক্ষতা অজর্ন করতে হবে।’

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘কে কোন দল করে আমরা তা দেখবো না, আমরা দেখবো মানুষের সততা, আন্তরিকতা, দক্ষতা, কর্মদক্ষতাই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘গরীব ছাত্রদের আমরা মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান দেবো। আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছে অতি আধুনিক তারা কোরআন ও হাদিসের কিছুই বুঝে না। আমরা আমাদের কোরআন হাদিস অনুসরণ করে অবশ্যই আউলিয়া দরবেশ, গাউস কুতুবদের অনুসরণ করবো তাদের ইসলামের জন্য যে অবদান রয়েছে তা অনস্বীকার্য।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘২০১৯ থেকে তিনি নিয়মিত ধর্মীয় বিষয় আর্টিক্যাল লিখেছেন। দৈনিক নয়া দিগন্ত ও ইনকিলাবে সুফি দরবেশদের অবদান নিয়ে লিছেন। তিনি ভারত বর্ষে সমাজ সভ্যতা ক্রমবিকাশে সুফি ও দরবেশদের অবদান নিয়ে লিখেছেন।’

মাদরাসা শিক্ষক মোজাফ্ফর আহমদের সঞ্চালনায় আলোচনা সবায় বিশেষ মেহমান ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক সরকার সারওয়ার আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মাদরাসা পরিচালানা অ্যাডহক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো: ইদ্রিস মিয়া, মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হোসাইনী, সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান, সহ-অধ্যাপক মাওলানা আবদুল আজিজ, মো: নজরুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মো: নাছির উদ্দিন, মো: ফরিদ, মাওলানা ছিদ্দিক আহমেদ সাইদী ও মাওলানা শরিফ উল্লাহ প্রমূখ ।