ফরিদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুককে (৬৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার সাথে জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফারুক হোসেন গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেন ওরফে বোমা ফারুককে নীলটুলীতে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর সাথে সাথে নাসরিন আক্তার নামে যুব মহিলা লীগের সদস্য গ্রেফতার করি। সে মিছিলে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। বোমা ফারুকের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে দুইটি বিচারাধীন, চারটি তদন্তাধীন রয়েছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ১৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের সদস্যরা দেশব্যাপী একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের তারা বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
ঢাকা লকডাউনকে সফল করার জন্য বোমা ফারুক বিভিন্ন মাধ্যম থেকে টাকা পাচ্ছে এবং নিজের অর্থও সে বিভিন্ন জায়গায় ডিস্ট্রিবিউট করছে।
তিনি জানান, ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী থেকে গত পরশু ৫ লাখ টাকা পেয়েছে। এরমধ্যে চার লাখ টাকা লকডাউন কার্যক্রমকে সফল করার জন্য একজনের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আরো জানতে পেরেছি, আওয়ামী লীগের একদম শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে তার হরহামেশাই যোগাযোগ হচ্ছে আমাদের কাছে সে স্বীকার করেছে।
জেলা পুলিশ অফিসের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।



