সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানি মামলায় পতিত সরকারের স্বাস্থ্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার ডা: মুরাদ হাসান এবং টকশো উপস্থাপক মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের টকশোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জায়মা রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশ্লীল এবং ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছিলেন মুরাদ। এতে জিয়া পরিবারের সম্মানহানি হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
মামলার বাদী জামালপুর জেলা ট্রাক ও ট্যাঙ্কলরি মালিক সমিতির সহ-সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো: রুমেল সরকার বলেন, ‘আসামিদের কর্মকাণ্ড সাধারণ জনগণ এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করেছে।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত ২৪ মে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ডা: মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের জন্য সমন জারি করেছিলেন। কিন্তু তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হাজির হননি। তারা আইনের প্রতি অমর্যাদা ও আদালত অবমাননা করেছেন।’
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এটি আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং ন্যায়বিচারের নিয়ম মেনে চলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ বলে মনে করেন এই আইনজীবী।