বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আধুনিক সাংবাদিকতায় সক্ষমতা উন্নয়নে সাত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) প্রশিক্ষণ কক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
‘এথিক্যাল ইনোভেশন, ডাটা ড্রাইভেন জার্নালিজম অ্যান্ড এআই রিপোর্টিং’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাকৃবিতে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের ১৮ জন সাংবাদিক ও দু’জন জনসংযোগ কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। কর্মশালাটি চলবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জিটিআই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীম, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান সরকার, প্রশিক্ষণ কর্মশালার কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়াসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ‘সাংবাদিকতা বর্তমান যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশা। সমাজের ভাবমূর্তির রক্ষার দায়িত্ব অনেকটা তাদের ওপর বর্তায়। তারা চাইলে ভালোটাও প্রকাশ করতে পারে আবার চাইলে খারাপটাও। তবে বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে একটি জিনিস আশঙ্কাজনক সেটি হলো ভুয়া খবর ও তথ্যের ছড়াছড়ি। এ বিষয়ে আমাদের ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সাথে কাজ করা আলাদা শক্তি। এআই দিয়ে অনেক তথ্য মিথ্যা ছড়ায়। এ মিথ্যাগুলো শনাক্ত করা তোমাদের দায়িত্ব হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হলে তথ্য যেমন দরকার, গবেষণা যেমন সেগুলো সামনে নিয়েও আসতে হবে। নতুন সাংবাদিকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ ও প্রযুক্তি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লিংকেজ গাঢ় করতে হবে। আমি আশা করাতে চাই আমাদের সামনের দিনগুলোতে আমরা ভিন্নরকম কাজ করতে পারবো।’
অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সাংবাদিকরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রতিবছর বাৎসরিক প্রশিক্ষণ করে থাকে। যেহুতু আমাদের এ সাংবাদিক ছাত্রছাত্রীদের সাংবাদিকতা বিষয়ক কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই অর্থাৎ এ বিষয়ে পড়াশুনা করেনি। তাদের জন্য এ প্রশিক্ষণগুলো খুব কাজে লাগবে। এবারের প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু ইথিক্যাল ইনোভেশন ও এআই জার্নালিজম যেটি বর্তমানের সব থেকে আলোচ্য বিষয়। বিভিন্ন সময়ে আমরা অনলাইন এ অনেক ভুয়া ছবি দেখে থাকি যেটা দেখে কোনোভাবেই বুঝা যায় না যে, এটি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি। যা সাধারণ মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে । এ ট্রেনিংটি নবীন সাংবাদিকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এটি তাদের দক্ষতাকে বাড়াবে এবং তাদের অভিজ্ঞতাকে আরো বৃদ্ধি করবে।’



