যশোরে গত দুই দিনে তালের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। এ খবরে জেলাজুড়ে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মণিরামপুরের মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে খান মনোহরপুর গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে জেসমিন নাহার (১৬), বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮), ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮), ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪), মারুফ হোসেনের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) ও মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪)।
রস খাওয়ার পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকে তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর হয়। পরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাদের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নূরুন নাহার বলেন, ‘বাজার থেকে ছেলে তালের রস খাওয়ার পর বোতলে করে বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই তালের রস খেয়ে বমি, পাতলা পায়খানাসহ জ্বর শুরু হয়। পরে শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি হই।’
তবে প্রচুর গরমের কারণে এমনটি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আলমগীর।
এর আগে শনিবার মণিরামপুর উপজেলার কাচারিবাড়ি গ্রামের একই পরিবারের ছয়জন তালের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
অসুস্থ জয়ন্তী দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তালের রস খাই। পরদিন সকালে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি। পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি ও জ্বর কিছুতেই কমছিল না, পরে শনিবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হই।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলিমুর রাজিব বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে তালের রস পান করে একই পরিবারের ছয়জন অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছে। গরমের মধ্যে ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয় থেকে বিরত থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, ‘অতিরিক্ত গরমে একমাত্র নিরাপদ পানি পান করা উচিত। কোনোভাবে তালের রস কিংবা খেজুরের রস পান করা উচিত না। তাছাড়া এ রসে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থাকতে পারে। সেই কারণে এ ধরনের অসুস্থতা হতে পারে।’