রিজওয়ানা হাসান

চীনের সাথে আলোচনা চলছে, শিগগির তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে

‘এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।’

রেজাউল করিম রেজা, কুড়িগ্রাম

Location :

Kurigram
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান |নয়া দিগন্ত

পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘চীনের সাথে জোরালো আলোচনা চলছে, শিগগির তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দুপুরের দিকে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে তিস্তা নদীর বাম তীরে কাজের পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদীটার গতি প্রকৃতিটা অনেকটাই আমাদের উপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে উজানের দেশের উপর। সরকারি পর্যায় থেকে তিস্তা মহাপরিকল্পনা ব্যাপারে কাজ করা হয়েছিল। আপনারা জানেন, ২০১১ সালে একটা চুক্তি করা হয়েছিল তবে সেই চুক্তি এখনো স্বাক্ষর করা হয়নি। তবে সেই প্রক্রিয়া সেই কাজও এখনো চলমান রয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা যেহেতু আমাদের দেশের নদী ভাটির দেশের জনগণ হিসেবে এই নদীর উপর তো আমাদের অধিকার আছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জনগোষ্ঠী, জনপদ দেশের একটা অধিকার আছে সেটা আমরা কেমন করে সুরক্ষিত রাখতে পারি সেজন্য চীন সরকারের সাথে ২০১৬ সালে একটা স্মারক দেয়া হয়েছিল যার পরে একটা প্ল্যান দেয়া হয়েছিল সেই প্ল্যান আর আগায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এসে জনগণের দাবি শুনেছিলাম, তারা তিস্তাকে নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা চায়। আমরা এসে সেই পরিকল্পনাকে মহাপরিকল্পনায় রূপ দেয়ার জন্য চীন সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছি। আপনারা জানেন, এখানে আমরা পাঁচটা গণশুনানি করেছি। যাতে এই পরিকল্পনা সরকারের পরিকল্পনা না হয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর পরিকল্পনা হয়।’

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপ‌রিচালক এনা‌য়েত উল্লাহ, উওরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহ্বায়ক ডা. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কুড়িগ্রামের রাজাহাট ও উলিপুর উপজেলার ২৪টি পয়েন্টে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ব সতর্কতামূলক তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে চলমান কাজের প্রায় শতকরা ৮০ ভাগের উপরে সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে।