আনোয়ারায় সাজ্জাদ হত্যায় ২ আসামির স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় সাজ্জাদ হত্যা মামলায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তারা হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায় স্বীকার করেছেন।

মো: নূরুল কবির, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

Location :

Anwara
সাজ্জাদ হত্যার দায়ে গ্রেফতার মো: রমজান আলী ওরফে আক্কর ও মো: হারুন
সাজ্জাদ হত্যার দায়ে গ্রেফতার মো: রমজান আলী ওরফে আক্কর ও মো: হারুন |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সাজ্জাদ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহানুর রহমান সোহাগ এ কথা জানান।

নিহত সাজ্জাদ (২২) হাজীগাঁও কুলালপাড়া এলাকার মো: নাছির ড্রাইভারের ছেলে।

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে সাজ্জাদ নিখোঁজ ছিলেন। দু’দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বরুমছড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী নুরুল হকের ফিসারির পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের বাবা মো: নাছির ড্রাইভার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে ৯ অক্টোবর রাতে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিরা হলেন বরুমছড়া ইউনিয়নের মো: শাহ আলমের ছেলে মো: রমজান আলী ওরফে আক্কর ও মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে মো: হারুন।

গ্রেফতারের পর আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামিরা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাজ্জাদকে হত্যা করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত আরো তিনজন হলেন সাইফুল, সুমন ও আশরাফ।

জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ভাড়ার প্রলোভনে সাজ্জাদকে কানু মাঝির ঘাট এলাকায় ডেকে নেয়া হয়। সেখানে সুমন তার মুখ চেপে ধরে কলা বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। চিৎকার করলে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে গলা কেটে হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ সময় রমজান ও হারুন পাহারা দেয়।

এএসপি সোহানুর রহমান সোহাগ আরো জানান, গ্রেফতার আসামিরা হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পলাতক তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।