চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তারই সহযোগী হিসেবে পরিচিত মুহাম্মদ রাজুকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্য থাকায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগীরকে গুলি করার সময় তার পেছনে একটি মোটরসাইকেলে রাজু ছিলেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
রাজু রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে।
এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন— রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি এলাকায় আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত হলেও হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা।
সেসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তার বাবা আবদুস সাত্তার ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ছয় থেকে সাতজনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।



