‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদে কারা যাবে তার নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার দুপুরে জয়পুরহাট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় নাগরিক পার্টি জয়পুরহাট জেলা কমিটির সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের মধ্যে জয়পুরহাট জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য আগামী ২ মাসের মধ্যে দেশের সকল ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হবে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনের জন্য বলেন, সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা বলেন, যে কারণেই হোক না কেন এনসিপি সবার আগে তার যে ভিত্তিটা সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। আমরা মনে করি সংসদ নির্বাচনে এই শক্তিশালী কাঠামো তৈরির মাধ্যমে আগামী সংসদে কারা যাবে তার নির্ধারকের ভূমিকায় থাকবে এনসিপি। জয়পুরহাট পিছিয়ে পরা জেলাগুলোর মধ্যে একটি। জয়পুরহাটের উন্নয়নের জন্য আমাদের এনসিপির নেতারা কাজ করে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো দেশে যখন তিনটি রাজনৈতিক দল থাকে তখন নির্বাচনে ১নম্বর দল এবং ২ নম্বর দল ভোট কাছাকাছি পায়। সেই সময় ৩য় দলটি যেই দলের সাথে যৌক্তিক অ্যালায়েন্স করে তারাই সরকার গঠন করে। আমি সেই জায়গায় বুঝাতে চেয়েছি। আগামীর বাংলাদেশে সংসদে সরকারি দল হিসেবে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই অথবা শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। আমরা জাতীয় পার্টির মতো পোষা বিরোধী দল হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসিনি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জয়পুরহাট জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক সাকিব মাহদী প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির জেলা কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, গোলাম কবির, মনিরুজ্জামান, আশরাফুল ইসলাম, আবু রায়হান, জহুরা বেগম প্রমুখ।
সারজিস আলম বলেন, ‘এনসিপি আগামীর বাংলাদেশে সবার আগে জনগণের সার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করবে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের সার্থকে প্রাধান্য দিতে পারি তাহলে দেশের সার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। আমরা জুলাই সনদে এর প্রতিফলন দেখেছি। জুলাই সনদে জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। সেই সনদ বাস্তবায়নে আইনের ভিত্তি এবং কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তার ক্লিয়ারেন্স পাওয়াই আমাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদে দায় সারা স্বাক্ষর করিনি। আমরা দলীয়ভাবে সেই স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাইনি। তারা জুলাই সনদে যা অন্তর্ভুক্ত বা লিপিবদ্ধ করেছে সেই বিষয়গুলো বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ বা নিশ্চয়তা চাই। শুধু মাত্র আমরা নির্বাচনে যাবো কয়েকটি আসন পাবো এই এটাকে সামনে রেখে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারিনি। এটা জনগণের আকাঙ্খার বিপরীত।’
শাপলা প্রতিকের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অভ্যুথান পরবর্তী সময়ে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের থেকে একটি যৌক্তিক অধিকার পেতে এই ধরনের লড়াই করতে হবে এটি খুবই অপ্রত্যাশিত। যখন আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই তখন নির্বাচন কমিশন কোন বাধায় বা ভীত হয়ে বা পিছুটানে আমাদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা করে আমরা মনে করি আগামীর বাংলাদেশে নির্বাচন করার প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। সেই জায়গা থেকে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান যেহেতু আইনগত বাধাহীন সেহেতু নির্বাচন কমিশন আমাদের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারে না। আমাদের কে শাপলা প্রতীক দিতে হবে না হলে এর আইনগত ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনগতভাবে লড়াই করব নাহলে রাজনৈতিকভাবে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’



