হাটহাজারীতে কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে, বাবাকে পিটিয়ে হত্যা

উপজেলার ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাটের সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী এলাকায় শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল বাশার, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)

Location :

Hathazari

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জোরপূর্বক এক কিশোরী কন্যাকে তুলে নিয়ে বিয়ের পর শালিসি বৈঠকে ওই কিশোরীর বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ফতেয়াবাদ চৌধুরীহাটের সন্দ্বীপ কলোনির আমতলী এলাকায় শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

ওই বাবার নাম ফখরুল ইসলাম (৫৮)। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী এলাকার বাসিন্দা ও ফয়জল মাওলার ছেলে।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে।

স্থানীয়ভাবে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুলাই (রোববার) রিফাত হোসেন (১৯) নামের এক যুবক স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ফখরুল ইসলামের কিশোরী মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বিয়ে করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষের সালিসি বৈঠক বসে। বৈঠকের শেষের দিকে সাড়ে ৪টার সময় রিফাত হোসেনের সহপাঠী স্থানীয় গ্যাং সদস্য রাহুল (৩৩), রিপন (১৭), বাধন (১৮) ও জাহেদের (১৭) নেতৃত্বে সালিশী বৈঠকে এসে কিশোরীর বাবা ফখরুল ইসলামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে হাসপাতালে নিলে ফখরুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ নুর আলম (৪২), মো: মুসলিম (৪৫) ও ছাইফুল (৩০) নামের তিনজনকে আটক করলেও পরে নিরীহ বলে দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে এবং ছাইফুলকে আটক রেখেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মাহমুদ কাওসার হোসেন জানান, ‘ফখরুলকে হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলার পর তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, একই এলাকায় গত দু’মাস আগে কিশোর গ্যাং কর্তৃক আরিফ নামের এক কিশোর হত্যার শিকার হয়েছিল। তাকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করেছে বিএনপি।