ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সার বিতরণ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবি

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার বিতরণ কার্যক্রম সরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ৬৫০ টাকার ইউরিয়া সার বাজারে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও সরকার নির্ধারিত দামে সার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন এবং বাজারে সিন্ডিকেট বা কারসাজির সুযোগ বাড়ছে।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Location :

Brahmanbaria
এ সময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএফএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন
এ সময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএফএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন |নয়া দিগন্ত

সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৫ বাতিল করে ২০০৯ সালের নীতিমালা পুনরায় কার্যকরসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএফএ’র নেতারা এ দাবি জানান।

এ সময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএফএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার বিতরণ কার্যক্রম সরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ৬৫০ টাকার ইউরিয়া সার বাজারে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও সরকার নির্ধারিত দামে সার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন এবং বাজারে সিন্ডিকেট বা কারসাজির সুযোগ বাড়ছে।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, নতুন নীতিমালায় প্রতিইউনিয়নে মাত্র তিনজন নতুন ডিলার নিয়োগের প্রস্তাব থাকলেও অনেক স্থানে ডিলারদের বাদ দিয়ে নতুনদের অযৌক্তিকভাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এতে সার বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি বাড়বে এবং কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া অন্য দুই দাবি হলো- সার পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, ডিলার কমিশন পুনর্বিবেচনা ও ব্যাংক সুদহার কমানো।

সংবাদ সম্মেলনে বিএফএ’র নেতারা বলেন, ২০০৮ সালের পর থেকে পরিবহন, গুদাম ভাড়া, ব্যাংক সুদসহ সব ধরনের ব্যয় বেড়েছে, কিন্তু সেই তুলনায় কমিশন বাড়েনি। এর ফলে সার ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

নেতারা আরো বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা সংশোধন না হলে সার সঙ্কট বৃদ্ধি পাবে, কৃষি উৎপাদন কমে যাবে এবং কৃষকদের ওপর চাপ বাড়বে। তাই সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএফএ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের সহ-সভাপতি মো: শহীদ মিয়া, সহ-সভাপতি মো: জাফর হোসেন, সহ-সভাপতি মো: ইব্রাহিম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শাহ আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সেলিম সিদ্দিকী, অর্থ সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিনসহ জেলার সার ব্যবসায়ী ও সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীসহ জেলা ও উপজেলার প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।