সিলেট নগরীতে ১৮ দিনের মাথায় কিশোর গ্যাং বিরোধে আবারো এক কিশোর খুন হয়েছে। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এর সত্যতা নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন ইলাশকান্দি এলাকায় স্থানীয় দুটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত শাহ মাহমুদ হাসান তপু (১৭) ইলাশকান্দির উদয়ন ৪০/২ এলাকার বাসিন্দা শাহ এনামুল হকের ছেলে।
এসএমপি জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইলাশকান্দি এলাকায় দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রধান জাহিদ হাসান এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে তপুকে গুরুতর জখম করে। পরে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা তপুকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানায় পুলিশ। তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান।
এদিকে ঘটনায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত জাহিদ হাসানসহ তার দুই সহযোগী অনিক মিয়া ও জুনায়েদ আহমদকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার দুজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়, তবে বর্তমানে সিলেটের লোহারপাড়ায় বসবাস করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি মাসের ১০ নভেম্বর সোমবার নগরীর বালুচর এলাকায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফাহিম (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আবারো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যান ফাহিম।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত ফাহিমের বড় ভাই মামুন আহমেদ (২৫) ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি এলাকায় ‘বুলেট মামুন গ্রুপ’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন। গত ১০ অক্টোবর মামুনকে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১১টি মামলা আছে। মামুন কারাগারে যাওয়ার পর ছোট ভাই ফাহিম বালুচর এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন। এ নিয়ে একটি পক্ষের সাথে তার বিরোধ দেখা দেয়। পরে খুন হন ফাহিম।



