ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রসহ দেশে আরো ৩টি নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন করবে বাপেক্স

১ হাজার ১৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন

এর মধ্যে প্রায় ১,০১৮.১৪ বিসিএফ উত্তোলনযোগ্য হতে পারে।

সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র
ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র |ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় অবস্থিত ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রসহ দেশে আরো ৩টি নতুন অনুসন্ধান কূপ খনন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

২০২৭ সালের শেষ দিকে এই প্রকল্প দেশে বড় রকমের সুখবর দিতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাপেক্সের বিশেষজ্ঞরা।

গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রসহ কুমিল্লার শ্রীকাইল ও পাবনার মোবারকপুরে তিনটি নতুন অনুসন্ধান কূপ খননে ১ হাজার ১৩৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

শিল্প ও গৃহস্থালি খাতে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মোকাবেলায় দেশের নিজস্ব গ্যাস সরবরাহ জোরদার করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে এটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালন করবে। এই প্রকল্প কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য বলছে, একনেকে অনুমোদন পাওয়া তিনটি অনুসন্ধান কূপ খনন শ্রীকাইল ডিপ-১, মোবারকপুর ডিপ-১ এবং ফেঞ্চুগঞ্জ সাউথ-১ প্রকল্পটি ২০২৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। এর অর্থায়ন মূলত সরকারের পক্ষ থেকে আসবে, যার মধ্যে ঋণ বরাদ্দ থাকবে ৯০৯ কোটি টাকা এবং বাপেক্স নিজস্ব তহবিল থেকে ২২৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা প্রদান করবে।

প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, ফেঞ্চুগঞ্জ সাউথ-১ কূপ খনন করা হবে ৪ হাজার মিটার গভীরতায়। কাজের মধ্যে থাকবে রিগ মোবিলাইজেশন ও ডিমোবিলাইজেশন, রিগ ফাউন্ডেশন নির্মাণ, খনন কার্যক্রম, পরীক্ষা ও সম্পন্নকরণ সেবা।

এছাড়া শ্রীকাইল ডিপ-১ এবং মোবারকপুর ডিপ-১ কূপ ৬ হাজার মিটার গভীরতায় খনন করা হবে।

যদি বাণিজ্যিক গ্যাস আবিষ্কৃত হয়, তাহলে তিনটি কূপ থেকে প্রাথমিকভাবে স্থাপিত গ্যাসের (জিআইআইপি) আনুমানিক পরিমাণ হবে ১,৬৯৬.৩৬ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। এর মধ্যে প্রায় ১,০১৮.১৪ বিসিএফ উত্তোলনযোগ্য হতে পারে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সমস্যা হলো গত ১৫ বছরে কোনো কূপ খনন হয়নি, এমনকি বাপেক্সকেও শক্তিশালী করা হয়নি। আমরা এখন শুরু করলেও এক বছরেই গ্যাস পাওয়া যাবে না। কিন্তু যদি শুরু না করা হয়, তাহলে আমরা কখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারব না। প্রথমবারের মতো আমরা খনন ও পরবর্তী ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার জন্য অর্থায়ন করে বাপেক্সকে শক্তিশালী করছি। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের অংশ।