বাগেরহাটের ফকিরহাটে মো: আশরাফুল শেখ (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ অ্যাকাডেমি এতিমখানা থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মো: আশরাফুল শেখ (১২) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার টাউন-নওয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাফেজিয়ার ছাত্র।
গ্রেফতাররা হলেন পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমান খানের ছেলে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন (১৪) এবং খুলনার বটিয়াঘাটার গাউঘরা গ্রামের রুস্তুম বিশ্বাসের ছেলে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো: তানভীর বিশ্বাস (১৪)।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফকিরহাট বালিয়াডাঙ্গা উমনে হুমাইদ অ্যাকাডেমি এতিমখানার শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম ইয়াসমিন, মো: তানভীর বিশ্বাস ও মো: আশরাফুল শেখ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে একটি বাগানে গামছা দিয়ে গলাচিপা খেলে। এসময় মো: আশরাফুল শেখকে ওই দুই শিক্ষার্থী গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশ নিয়ে মাদরাসা পেছনে টয়লেটে রেখে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ উচু দেয়ালের উপর দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দিকে মাদরাসার এক ছাত্রকে ঘটনাটি জানায়। ওই ছাত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ নাজমুল ইসলামকে জানালে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ফকিরহাট থানা পুলিশকে অবগতি করে।
মো: আশরাফুল শেখের মা মোসা: ফাতেমা বেগম জানান, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জানায় যে তার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে রাতে জানতে পারেন, তার ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মীর বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লাশের প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুই শিশুশিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।