দাফনের পর জীবিত ফিরল কিশোর

দাফনের কিছুদিন পর দেখা মেলে সেই নিখোঁজ ছেলের। দাফন করা ছেলেকে সরাসরি দেখে যেন আতকে উঠে পরিবারসহ স্বজনরা। ততক্ষণে ঘটনার মোড় নেয় ভিন্ন দিকে।

ময়নুল হক পবন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)

Location :

Maulvibazar
দাফনের কিছুদিন পর দেখা মেলে নিখোঁজ রবিউলের
দাফনের কিছুদিন পর দেখা মেলে নিখোঁজ রবিউলের |নয়া দিগন্ত

নিখোঁজ ছেলে। অবশেষে ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় কিশোরের লাশ। পরে পরিবার ছেলেকে শনাক্ত করে দাফন সম্পন্ন করে। তবে দাফনের কিছুদিন পর দেখা মেলে সেই নিখোঁজ ছেলের। দাফন করা ছেলেকে সরাসরি দেখে যেন আতকে উঠে পরিবারসহ স্বজনরা। ততক্ষণে ঘটনার মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় চাঞ্চল্যকর এমন ‘লাশের গল্প’ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুরে নানার বাড়ি থেকে তাকে জীবিত অবস্থায় খুঁজে পায় স্বজনরা।

পরে কুলাউড়া থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং শনিবার (২৩ আগস্ট) মৌলভীবাজার আদালতে পাঠায়।

রবিউল সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গদিয়াচর গ্রামের কনাই মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গোয়ালাবাজারের বগুড়া রেস্টুরেন্টের কর্মচারী রবিউল গত ২৬ জুলাই নিখোঁজ হন। এরপর ৩ আগস্ট কুলাউড়ার বরমচাল রেলস্টেশনের পাশের ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিবার সেই লাশকে ছেলে রবিউলের লাশ বলে দাবি করেন। একইসাথে, অভিযোগ তোলেন, রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল মিয়া তাকে হত্যা করেছেন। এদিকে ঘটনায় মামলা নিতে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে ৬ আগস্ট ছেলের লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন মা ও স্বজনরা। একপর্যায়ে কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওমর ফারুক বলেন, রবিউল আত্মগোপনে ছিল। পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে পেয়ে খবর দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের লাশ ও মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।