কিশোরগঞ্জে প্রতীকী ম্যারাথনে মানুষের ঢল

পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথনটি জেলা শহরের বড়পুল মোড় এলাকা থেকে বটতলা পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Location :

Kishoreganj
প্রতিকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করছেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
প্রতিকী ম্যারাথনের উদ্বোধন করছেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। |নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জ শহরে প্রতিদিন নির্মল বাতাস নিয়ে ভোর নামে। তবে আজকের ভোরটা ছিল আরো সুন্দর ও ব্যতিক্রম। সূর্য উঠি উঠি করার আগে ঘুমভাঙা পাখিদের ডাকাডাকি। এর মধ্যেই মুখর হয়ে ওঠে প্রায় ৩০০ জন তরুণ-তরুণী, ক্রীড়াবিদ ও শিক্ষার্থী।

আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় জুলাই গণঅভুত্থান দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যুব উন্নয়ন অধিদফতর এই প্রতীকী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন।

পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ম্যারাথনটি জেলা শহরের বড়পুল মোড় এলাকা থেকে বটতলা পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এতে জুলাই শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এক পর্যায়ে মানুষের ঢল নামে।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের স্মরণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ আয়োজন করেছে। জুলাইয়ের যে চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম সেটি আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন ও আহত হয়েছেন তাদের যে মনের বাসনা তা বর্তমান ও আগামীর সরকার নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন করবে আমি আশাই করি।’

ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব মুস্তাইন লুবাবা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের স্মরণে এই মারাথনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এমন আয়োজন ভবিষ্যতে আমরা আরো চাই।’

ছাত্র আন্দোলনের জেলার সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স বলেন, ‘আমরা জুলাইকে বুকে ধারণ করে বাঁচতে চাই। যে আশা নিয়ে ২০২৪ সালে ছাত্র ও সাধারণ জনগণ স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে সেটি যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা বৈষম্যহীন, সুন্দর, গণতান্ত্রিক ও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে ভরা সুখী সমৃদ্ধশালী ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে আগামীর বাংলাদেশকে দেখতে চাই।’

যুব উন্নয়ন অধিদফতর কিশোরগঞ্জের উপ-পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপারের দায়িত্বে) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) এস এম মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুল হাসান মারুফসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো: রমজান আলী, ছাত্র-আন্দোলন কিশোরগঞ্জের আহ্বায়ক মো: ইকরাম হোসেন প্রমুখ।