চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী দ্বীপ চরতীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে মাহবুব আলম(৪৫) ঢাকার বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন মারা যান।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মো: ইদ্রিস(২৬) ও ২০ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১০টার দিকে মো: ইউসুফ(৩০) নামে একজন মৃত্যুবরণ করে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা: জাহাঙ্গির আলম।
নিহত মাহবুব আলম চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ভূইয়াবাড়ীর মরহুম কবর আহমদের ছেলে। তার স্ত্রী ২ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে।
নিহত ইদ্রিস চট্টগ্রমের চন্দনাইশ হাশিমপুরের মো: নাসিরের ছেলে এবং মো: ইউসুফ কক্সবাজার জেলার, তবে তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে চন্দনাইশ সাতকানিয়ার সীমান্তবর্তী দ্বীপ চরতির একটি চরে চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলির নিহত মাহবুব আলমের গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে এক সিলিন্ডার থেকে অন্য সিলিন্ডারের গ্যাস ক্রসফিলিং করার সময় বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই গুদামের মালিক মাহবুবসহ ১০জন আগুনে দগ্ধ হয়। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় দগ্ধ ১০জনকে চট্টগ্রাম প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দগ্ধ ১০জনকেই ঢাকার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পর পর তিনজন মৃত্যুবরণ করলেন। বর্তমানে আরো সাতজন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এরা হলেন- মো: সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো: হারুন (২৯), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)। এদের শরীর গড়ে ৪০/৪৫ ভাগ ঝলসে গেছে বলে জানা গেছে।