জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘দেশের জনসংখ্যা অনেক হলেও দক্ষ জনবলের সঙ্কট প্রকট। এর বড় কারণ শিক্ষায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করা। স্বাধীনতার পর অবকাঠামো উন্নয়নে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সেভাবে পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে জাতিসঙ্ঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-এমডিজি অর্জনে যতটা সফলতা এসেছে, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-এসডিজি অর্জনে সেই সফলতা আসেনি।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর নীলক্ষেতের আইসিএমএবি ভবনে অনুষ্ঠিত চতুর্থ অ্যাকাউন্টিং এডুকেটর্স কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় আড়াই হাজার কলেজের শিক্ষকদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে হিসাবরক্ষণ বিষয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
একইসাথে অধিভুক্ত কলেজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় মানসম্মত অডিট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ সফল করতে ইনস্টিটিউট অব কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ-আইসিএমএবি’র সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর অন্তত ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে, যার ৪০ ভাগই চাকরি পায় না। এর মূল কারণ পুরনো গতানুগতিক সিলেবাস। তাই সিলেবাস সংস্কারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য করে গড়ে তুলতে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষ করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই-এর ব্যবহার ও একাধিক ভাষা শেখানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
উদ্বোধনী সেশনে আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির আকার বাড়লেও সে অনুযায়ী হিসাবরক্ষণ পেশায় জনবল বাড়েনি। এই সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে বাড়ছে দুর্নীতি। পরিস্থিতির উন্নয়নে হিসাবরক্ষণ পেশায় দক্ষ জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি এই পেশার মানুষকে নৈতিকভাবে দৃঢ় হতে হবে।’
চতুর্থ অ্যাকাউন্টিং এডুকেটর্স কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে কনফারেন্স গভর্নর জামাল আহমেদ চৌধুরী, আইসিএমএবির এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান মো: কাওসার আলম এবং আইসিএমএবির শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. নিখিল চন্দ্র শীল বক্তব্য রাখেন।
দিনব্যাপী চতুর্থ অ্যাকাউন্টিং এডুকেটর্স কনফারেন্সে সারাদেশ থেকে হিসাবরক্ষণ পেশা ও শিক্ষকতায় জড়িত অনেকে অংশগ্রহণ করেন।