বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসাবে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাতজন আসামি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: রবিউল ইসলাম একজন আসামির ই-বেলবন্ড গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ডের কার্যক্রম শুরু হয়।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা বুধবার বাংলাদেশের প্রথম নারায়ণগঞ্জে ই-বেল বন্ড প্রবর্তন করার পর বৃহস্পতিবার আমরা এর কার্যক্রম শুরু করেছি। বিচারপ্রার্থী জনগণ অচিরেই এর সুফল ভোগ করতে পারবে। এজন্য বিজ্ঞ আইনজীবী, আদালতের বেঞ্চসহকারী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আদালতে ই-বেল বন্ড চালু হওয়ায় জামিন নামা জালিয়াতি এবং সকল ধরনের হয়রানি চিরতরে বন্ধ হবে, ইনশাআল্লাহ।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো: ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, ‘ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে প্রথম দিনেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামিনে সাতজন মুক্তি পেয়েছেন। নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টার মধ্যে তারা মুক্তি পেয়েছেন, বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে অন্য মামলা থাকায় তাদের মুক্তি মেলেনি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর আরো সাতজনের ই-বেল বন্ড পাওয়া গেছে। তারা শুক্রবার সকালে মুক্তি পাবেন। সব মিলিয়ে মোট ১৭ জন আসামির ই-বেল বন্ড নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ই-বেল বন্ড চালু হওয়ায় স্বাক্ষর জাল করে আসামি জামিন করার ঝুঁকি কমবে এবং সময় সাশ্রয়ীসহ বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে।’
নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আজ সর্বপ্রথম বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ফতুল্লা থানার ৪৭ (৪) ২৫ মোকদ্দমার আসামি রায়হান ইসলামের জামিন মঞ্জুরের পর ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে খুব সহজে ও বিনা হয়রানিতে বেল বন্ড পূরণ করে পাঠালাম। ই-বেল বন্ড খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া। আশা করি, সারা বাংলাদেশের আদালতে ই-বেল বন্ডের মাধ্যমে কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত বেলবন্ড জেলা কারাগারে পৌঁছাবে এবং আসামি জামিন লাভের পর দ্রুত পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে আসবে।’



