বরিশালের গৌরনদীতে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে থাকা লাখ টাকার মূল্যের একাধিক সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে গাছগুলোকে জব্দ করেছে।
স্থানীরা জানান, রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার টরকী বন্দরের ছাগলহাট সংলগ্ন হাজী আবুল হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রজাতির সাতটি গাছ শ্রমিকদের নিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন কেটে নিচ্ছিলেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে কাটা গাছ জব্দ করে।
বাড়ির মালিক হাজী আবুল হোসেন বলেন, ‘গাছগুলো পড়ে আমার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে ভেবে ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু রাতের আঁধারে কারা গাছ কাটছে তা প্রথমে বুঝতে পারিনি। পরে জানতে পারি আমার আত্মীয় রোকনুজ্জামান রোকন লোকজন নিয়ে গাছ কাটছে।’ তিনি নাকি ইউএনও অফিস থেকে অনুমতি নিয়েছেন বলেও জানান।
তবে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা মৌরি বিষয়টি নাকচ করে বলেন, ‘আমার কাছে একটি আবেদন করা হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তা উপজেলা বন-কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো গাছ কাটার অনুমতি দেয়া হয়নি। অনুমতি ছাড়া যদি কেউ সরকারি গাছ কাটে তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গৌরনদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ইউএনও স্যার আমাকে ফোন করে জানালে পুলিশ পাঠিয়ে গাছ কাটা করে কর্তনকৃত গাছের অংশ জব্দ করা হয়েছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘আমার নিকট আত্মীয় হাজী বাবুল হোসেন গাছ কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম তিনি অনুমতি পেয়েছেন। এই কারণেই শ্রমিক নিয়ে গাছগুলো কাটা হচ্ছিল। ইউএনও স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ বাধা দেয়ার পর থেকে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। পরবর্তীতে ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত নেবেন আমরা সেই অনুযায়ী অগ্রসর হবে।’