কুমিল্লার তিতাসে চাচির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় ৭ বছর বয়সী শিশুকে হত্যা করার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনের যাবজ্জীবন কারাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২০ আগস্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় দেন।
জানা যায়, মামলায় ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড ও চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দু’জনকেই লাশ গুমের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন বিচারক। রায় দেয়ার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো: ইকরাম হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে ৭ বছর বয়সী শিশু সায়মন তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায়। সেখান থেকে কোমলপানীয় কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। ১৮ আগস্ট নিখোঁজের বিষয়ে তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে সায়মনের অর্ধগলিত পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার চাচি শেফালী বেগম এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তে বিল্লল পাঠানের নাম উঠে আসে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, চাচি শেফালী বেগমের সাথে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে পুড়িয়ে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।
নিহতের মা খোরশেদা আক্তার রাষ্ট্রের কাছে সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়নের আবেদন জানান।