নারায়ণগঞ্জে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

তিনটি বিভাগে এ তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে মোট তিনটি বিভাগ থেকে ৪৫ জনকে বাছাই করা হয়।

কামাল উদ্দিন সুমন, নারায়ণগঞ্জ

Location :

Narayanganj
নারায়ণগঞ্জে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী পর্ব
নারায়ণগঞ্জে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী পর্ব |নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দিনব্যাপী ফতুল্লার লালপুরস্থ তাহমিদুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ মডেল মাদরাসার আয়োজনে এ বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগীদের সুমধুর কণ্ঠের কুরআন তেলওয়াতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাদরাসা প্রাঙ্গন। তিনটি বিভাগে এ তেলওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৪০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিটি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে মোট তিনটি বিভাগ থেকে ৪৫ জনকে বাছাই করা হয়। তাদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ইয়েসকার্ড প্রদান করা হয়েছে। আল হুফফাজ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হাফেজ শব্দটি বলতে খুব সহজ মনে হয়। হাফেজ হয়েছেন বা হাফেজ হওয়ার জন্য শিখছেন এমন যারা আছেন, আমি বলব আল্লাহ তায়ালার সরাসরি নেয়ামত না থাকলে তা হওয়া সম্ভব না। আপনারা যারা কুরআনের হাফেজ হয়েছেন বা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। হাফেজদের উপস্থিতিতে এত সুন্দর এবং ভালো একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে দু’টি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, এ জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা যারা পড়াশোনা করছেন তারা বিভিন্ন সংস্থা বা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্ব দেবেন। আমি দেখেছি মক্কা-মদিনার অনেক মসজিদের ইমাম বাংলাদেশের। দুবাই, কাতারসহ অনেক দেশের মসজিদে বাংলাদেশীরা নামাজ পড়ান। নামাজের সময় বোঝা যায় না তারা কোন দেশের, কিন্তু নামাজ শেষে যখন কথা বলে তখন বোঝা যায় তারা বাংলাদেশী। যারা ইসলামকে প্রচার করার চেষ্টা করছেন, তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুরআনের বার্তাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এবং আগামী প্রজন্মের কাছে কুরআনকে সহি-শুদ্ধভাবে পৌঁছে দেয়ার জন্য আপনাদের এ আয়োজন। আপনারা যারা কোরআনের হাফেজ হন আমি দেখতে পেয়েছি, ভোর থেকে উঠে কুরআন মুখস্থ করেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের হেফাজত করুন।’

এ সময় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার বাইতুল হাফিজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ মাওলানা মশিউর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা শাহ-জাহান খান সাঈদ, মাওলানা কারী আবুল কাশেম সাহেব, হাফেজ মাওলানা আবু রায়হান বিন কাশেম, মাওলানা আজহারুল ইসলাম, আব্দুর রহমান প্রমুখ।