নগরীতে সবধরণের জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতারা।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেট মহানগর জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়- জনপ্রতিনিধি না থাকায় নাগরিক সুবিধা পেতে জনসাধারণকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিন দিন নানা সঙ্কট ক্রমশই বাড়ছে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিসিক কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
সিসিক কর্মকর্তারা জামায়াত নেতাদের দাবি-দাওয়া শুনেন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
জামায়াত নেতাদের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, সিলেট জেলা আমির ও সিলেট-১ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, জামায়াতের সিলেট অঞ্চল টিম সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, মহানগর সহকারী সেক্রেটারি জাহেদুর রহমান চৌধুরী, সাবেক ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার আব্দুল মুহিত জাবেদ, সাবেক ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার আব্দুল জলিল নজরুল ও সাবেক ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন।
সিলেট সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার, সচিব মো: আশিক নূর, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আকবর, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমান খান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ জয়দেব বিশ্বাস প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে সিসিক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে জামায়াত নেতারা বলেন, ‘সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দকে ভরা যান চলাচলের অনুপযোগী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাটগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে। নগরীতে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা উচিত। নগরীর ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় নগরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করে তাদের জন্য নির্ধারিত লালদিঘীরপার হকার মার্কেটে প্রতিস্থাপনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নগরীতে মশার উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মশক নিধন ও ডেঙ্গুর প্রজনন কেন্দ্র ধ্বংসে অভিযান জোরদার করা উচিত।’
তারা আরো বলেন, ‘নগরীর ছড়া, নালা ও খালগুলো পরিস্কারের পাশাপাশি অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। বর্জ্য অপসারণে গতি বাড়াতে হবে। ড্রেন পরিষ্কার করে সেগুলো রাস্তার পাশে তুলে রাখার পর দ্রুত পরিষ্কার না করায় ফের ড্রেনে পড়ে যায়। এসব ময়লা দ্রুত অপসারণ করতে হবে। নগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার রাস্তার ফ্লাড লাইটগুলো নষ্ট হয়ে আছে। এতে চুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকল অচল লাইটগুলো ফের সচল করা জরুরি। নগরীর উপশহর মেইন রোড, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কুশিঘাট, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাদপুর, আম্বরখানা পয়েন্ট ও শিশু উদ্যান-সংলগ্ন রাস্তাগুলোর খানা খন্দকে ভরা। এগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে।’
সিসিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের জনবলসহ নানা সঙ্কট ও সীমাবদ্ধতার বিষয় তুলে ধরে উপরোক্ত দাবি পূরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।