‘যেহেতু গণভোটে আমরা সবাই রাজি হয়েছি, তাহলে কেন গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হবে না এবং করলে সমস্যাটা কী?’ বলে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই যেন গণভোট করা হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সবাই স্বাক্ষর করেছি।’
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জে সাহাপুর মাঠে নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণভোট হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমাদের হাতে সময় অল্প। এ জন্য ভোট এবং গণভোট একসাথে সময় হবে না। সে কারণে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই দিতে হবে। এটাই দেশবাসী প্রত্যাশা করে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দাবি করে আসতেছি। এখনো প্রশাসনে অনেকেই আছে যারা বিশেষ একটা দলের পক্ষে কাজ করেন। সরকারি চাকরি যারা করেন, তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এটা অব্যাহত থাকলে আমার এলাকায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে, ইনশাআল্লাহ- আমি প্রশাসনকে সবসময় এই কথাটি বলে আসছি।’
দাঁড়িপাল্লায় ভোটের ব্যাপারে জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছেন উল্লেখ করে আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৪ বছর জেলে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় খালাস পেয়ে মুক্ত হয়েছি। জামায়াত আমাকে রংপুর-২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি সাড়ে তিন চার মাস ধরে বদরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি। সব জায়গায় ভালো সাড়া পাচ্ছি এবং নারীদের সবচেয়ে বেশি সাড়া পাব, ইনশাআল্লাহ। অনেক সংস্কার করেছি। যেহেতু আমি জনগণের জন্য নির্যাতিত ছিলাম, এজন্যই তারা আমাকে ভোট দেবে। আমি সর্বস্তরের লোকদের সমর্থন পাচ্ছি। যেহেতু তরুণ প্রজন্ম একটা বিপ্লব করে সরকারকে হঠিয়েছে, এখানে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অনেকটা বেশি। তরুণ-যুব-বৃদ্ধ-মহিলা ও অমুসলিমদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি ভোটে। এবং ভোটের পরিবেশ অত্যন্ত অনুকূলে।’
ভূমিধস বিজয়ের আশা প্রকাশ করে আজহার বলেন, ‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে আমার ধারের কাছে কেউ আসতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। যেহেতু দুর্নীতি মুক্ত থেকেই এতদিন কাজ করছি। এখানে নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত থাকব, ইনশাআল্লাহ। আমি সকল জায়গায় বলেছি, যদি এমপি হতে পারি সরকারি-বেসরকারি বরাদ্দ আনবো। ক্ষমতায় গেলে সরকারি বরাদ্দের একটি হারামের টাকাও আমার পেটে ঢুকবে না, ইনশাআল্লাহ।’
পরে প্রায় পাঁচ হাজার মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা নিয়ে বের হন এটিএম আজহারুল। সময় তার সাথে ছিল বাংলাদেশের পতাকা। একটি হুড খোলা প্রাইভেটকারে দাঁড়িয়ে পথে পথে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান স্থানীয়দের। স্থানীয়রাও তাকে হাত নেরে শুভেচ্ছা জানান।
শোভাযাত্রাটি শ্যামপুর, নাগেরহাট পদাগঞ্জ, লোহানী পাড়া, ওসমানপুর, ট্যাক্সেরহাট গোপীনাথপুরের বটেরহাট, লালদীঘি, ধোলাইঘাট, তারাগঞ্জ, একরচালি হাড়িয়ালকুটি হয়ে শেখেরহাট হয়ে আবারো সাহাপুর মাঠে শেষ হয়।
একই সময়ে রংপুর-মিঠাপুকুর আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে প্রায় ছয় হাজার মোটরসাইকেলের একটি শোভাযাত্রা ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।



