কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ভাবিকে ধর্ষণের অভিযোগে দেবর নাইম শেখকে (১৭) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এর আগে ৭ জুলাই গভীর রাতে কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাইম শেখ ওই গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নাইম শেখ ও তার বড় ভাই একই বাড়িতে বসবাস করেন। সোমবার রাতে বড় ভাই বালুর নৌকার কাজ করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে গৃহবধূ ঘরে একা ছিলেন। এই সুযোগে নাইম ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী জানান, তার দেড় বছরের শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে নাইম তাকে ধর্ষণ করেন। এর আগেও কয়েকবার অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার পর তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানান। পরে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে স্থানীয় একদল ব্যক্তি মীমাংসার আশ্বাস দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশ্বাসে আস্থা না রেখে গৃহবধূ থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নাইম শেখকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী নারীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে নাইম শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, ‘দেবরের এমন জঘন্য কাজের উপযুক্ত শাস্তি চাই। যাতে অন্য কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়।’