বোয়ালমারীতে সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

ফসলি মাঠ ও জনপদের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তার দু’পাশে আনুমানিক এক হাজার মানুষের বসবাস হলেও আজো এর কোনো সংস্কার হয়নি।

Location :

Boalmari
বর্ষায় সড়কের বেহাল দশা
বর্ষায় সড়কের বেহাল দশা |নয়া দিগন্ত

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা

ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর গ্রামের একটি সড়কের বেহাল দশা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার হাজারো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামটির গণি খাঁর মোড় থেকে পূর্ব পাড়া ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফসলি মাঠ ও জনপদের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রাস্তার দু’পাশে আনুমানিক এক হাজার মানুষের বসবাস হলেও আজও এর কোনো সংস্কার হয়নি।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে দাদপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার অধিকাংশ জায়গা কাদায় ভরা। কোথাও কোথাও প্রায় হাঁটু পর্যন্ত দেবে গেছে। পথচারীদের এই দুর্ভোগ নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। হেঁটে যেতে অনেকে পা পিছলে পড়ছেন। বর্ষা এলে এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

স্থানীয় কৃষক ইমরান মোল্যা (৩৫) বলেন, ‘আমি প্রতি মৌসুমে কয়েক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করি। কিন্তু বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে ভ্যান চলাচল যে কতটা কষ্টের, তা বলে বোঝানো যাবে না। অনেক সময় কাঁধে ও মাথায় করে পেঁয়াজ বস্তা টানতে হয়। রাস্তাটি পাকা করা খুব জরুরি।’

অন্য এক কৃষক ও শিক্ষক ফারুক হোসেন (৪০) বলেন, ‘এই এলাকাটি কৃষিপ্রধান। এখানে এমন চাষি আছেন যারা জাতীয় পর্যায়ের পাট ও পেঁয়াজ উৎপাদক। অথচ এই একটা রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমরা নিজেরাই টাকা দিয়ে মাঝে মাঝে মাটি ফেলে চলাচলের চেষ্টা করি। কিন্তু এভাবে আর চলছে না। এটি পাকা না করলে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে মনে হচ্ছে।’

স্কুল ছাত্র সায়ান (৮) জানায়, ‘বৃষ্টির দিনে আমাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। পা পিছলে পড়ি, বই কাদাপানিতে ভিজে যায়। আমাদের অনেক কষ্ট হয়।’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর সরদার বলেন, ‘রাস্তাটি বহুদিন ধরেই কাঁচা আছে। আমি কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি তুলে ধরেছি। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরা চাই এটি দ্রুততম সময়ে পাকাকরণ হোক।’

এলাকাবাসীর দাবি, অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এই এলাকার রাস্তা যেন দ্রুততম সময়ে পাকা করা হয়। এতে কৃষকদের জীবন-জীবিকা সহজ হবে এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নেও গতি আসবে। সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেবে বলে আশাবাদী এলাকাবাসী।