ফেনী জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার এক যুগ পর মামলা হয়েছে। আলোচিত এ ঘটনায় পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান মামলার রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার জেলা জামায়াতের সাবেক দফতর সম্পাদক মো: শফিকুর রহমান মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিম উল্যাহ বি.কম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল, বর্তমান সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, যুবলীগের সহ-সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিয়াউল আলম মিষ্টার এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আলম রানা। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির আদেল একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের শান্তি কোম্পানি রোডে আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার উত্তর-পশ্চিম পাশে অবস্থিত জেলা জামায়াত অফিসে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলে দারোয়ান প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। এরপর তারা গুলিবর্ষণ ও বোমা ফাটিয়ে অফিস ভাঙচুর করে। গ্যারেজে থাকা একটি নোহা গাড়ি ও দু’টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার এসি, কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন, বইপত্র, কাগজপত্র তছনছ করে বিভিন্ন কক্ষে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও শান্তি রোডে আটকে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
জামায়াতের জেলা প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম জানান, ঘটনার পর মামলা করা হলেও পুলিশ ভুয়া প্রতিবেদন দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে।
জেলা আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সারাদেশের মতো ফেনীতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে আগুন দিয়ে বই-পুস্তক, গাড়ি, আসবাবপত্র পুড়িয়েছে।’