চট্টগ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

‘বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশের খবরটি জানার সাথে সাথে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে।’

মো: নূরুল কবির, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)

Location :

Anwara
শঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি
শঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি |নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ঘূর্ণিঝড় শক্তির সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে শঙ্খ নদী ও সাগরের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে জোয়ারের পানি। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি ও মৎস্যঘের। এতে শত শত বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলজুড়ে সাগর ও নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিকে আনোয়ারায় বিভিন্ন ইউনিয়নে অরক্ষিত বেড়িবাঁধের কারণে আতঙ্কিত উপকূলবাসী। উপজেলার রায়পুর, জুঁইদন্ডী ও বারশত ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি আসতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৩০ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল এলাকায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। রায়পুর ইউনিয়নের বাঘ্যের ঘাট হইতে বাঁচা মিয়া ঘাট ও একই ইউনিয়নের ফকিরহাট থেকে ঘাটকুল নজুমিয়া ঘাট পর্যন্ত বেড়ি বাঁধে ফাটল ধরেছে। জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের রব্বাত মিয়ার বাড়ী থেকে মৌলি বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদী এলাকায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও বেড়িবাঁধের কাজ না করায় নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে কৃষি জমিতে সবজি চাষ ও মৎস্যঘের তলিয়ে যায়।

জুইঁদন্ডী ইউপি সদস্য মো: নুরুন্নবী বলেন, সকালে জোয়ারের প্রবল স্রোতে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এসব এলাকায় কৃষি জমি ও মৎস্যঘের ডুবে গেছে। দ্রুততম সময়ে বাঁধ বাঁধতে না পার‌লে পুরো ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি প্লাবিত হতে পারে বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ জানান, ‘জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খ নদীর ভাঙন এলাকায় ইতোমধ্যে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশের খবরটি জানার সাথে সাথে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে।’