বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত না করে কোনো খেলার উন্নয়ন চিন্তা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আসিফ আকবর।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) উত্তরবঙ্গের খেলার মাঠগুলোর মানোন্নয়ন ও ব্যবহার যোগ্যতা বাড়াতে তিন দিনের পরিদর্শনে নীলফামারী জেলা স্টেডিয়াম ও মিনি স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আসিফ আকবর বলেন, ‘যারা অ্যাকাডেমির সুবিধা পাচ্ছে না, তারা স্বেচ্ছাসেবীভাবে খেলায় নিয়োজিত। আমরা চাই কোয়ালিফাইং রাউন্ড চালু, নতুন টিম যুক্ত, নতুন সংগঠক ও বিনিয়োগকারীর জন্ম হোক। বেসরকারি খাতকে উৎসাহ না দিলে ৪৭ সালের পরের ক্লাবগুলোর ওপর নির্ভর করে কোনো খেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘নীলফামারী স্টেডিয়ামকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে খেলাধুলার উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। এখানে কোনো ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ঢাকার কোনো লীগ বা ন্যাশনাল খেলা না হওয়ায় এত সুন্দর একটি মাঠ ফেলে রাখার মানে নেই। এনএসসি ও ডিএফএর ফুটবল ক্যালেন্ডার মিলিয়ে মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।’
ফুটবল ও ক্রিকেট একই স্টেডিয়ামের আয়োজনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থায়ী উইকেটে ফুটবল খেললে উইকেটের তির আশঙ্কা থাকে। এ জন্য সিনথেটিক টার্ফ বসানো হলে ফুটবল ও ক্রিকেট দুই খেলারই অসুবিধা হবে না। নীলফামারী ভেন্যুর ডরমিটরি, প্রেসবক্স, গ্যালারি, প্র্যাকটিস সুবিধাসহ জাতীয় লিগ বা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সব সুযোগই রয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর কাছে থাকায় প্রয়োজনীয় ফ্যাসিলিটিও সহজ।‘
বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘ফুটবল শিডিউল চূড়ান্ত হলে আমরা উইকেটের কাজে হাত দিতে পারি। বাফুফে ও বিসিবি বসে সিদ্ধান্ত নিলে কোনো অসুবিধা নেই। মাঠ ফ্রি থাকলে আমরা ছয়টা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট সুন্দরভাবে করতে পারি।’
নারী ক্রিকেটারদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তদন্ত কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন দিতে পারবে।’
৬৪ জেলার পুরনো অ্যাফিলিয়েট দলগুলোর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন কোয়ালিফাইং রাউন্ডে না খেলায় নতুন খেলোয়াড় ও সংগঠক তৈরি ব্যাহত হচ্ছে। বাজেট পেলেও তা যথাযথভাবে ব্যবহার হয় না এবং বাজেটও যথেষ্ট নয়।’
এ সময় আসিফ আকবর উপস্থিত খুদে ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে তুলে ধরা বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত লজিস্টিক সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বিসিবি পরিচালক হাসানুজ্জামান, সদস্য সচিব আরমানুল ইসলাম, আম্পায়ার শাকির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য জহুরুল আলম, অ্যাডভোকেট আবু মো: সোয়েমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।



