ঘিওরে তেরশ্রী গণহত্যা দিবস পালিত

আজ তেরশ্রী গণহত্যা দিবসে। ১৯৭১ সালের এই দিনে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ৪৩ জন স্বাধীনতাকামী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। জ্বালিয়ে দেয়া হয় পুরো গ্রাম।

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)

Location :

Ghior
ঘিওরে তেরশ্রী গণহত্যা দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
ঘিওরে তেরশ্রী গণহত্যা দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন |নয়া দিগন্ত

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় তেরশ্রী গণহত্যা দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার তেরশ্রী এলাকায় এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন ভোরে নিহত শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। পরে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাশিতা তুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) নাজমুন আরা সুলতানা।

সভায় মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ- দেশের প্রতিটি আন্দোলনে তেরশ্রী গ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ প্রতিদিন শত শত মানুষ দেখতে আসেন।’

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তানভীর ইসলাম, ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কোহিনূর মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাহিনুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, সাধারণ সম্পাদক কাজী ওয়াজেদ আলী মিস্টার, পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তেরশ্রী গণহত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা জাতির কাছে আজও একটি দাবি হয়ে আছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর তৎকালীন জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায় প্রসাদ চৌধুরী, তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানসহ ৪৩ জন নিরীহ স্বাধীনতাকামী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় তারা। পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও সেই ভয়াল দিনের স্মৃতিতে আজও শিউরে ওঠে এলাকাবাসী।