রাজধানী পুরান ঢাকার সদরঘাটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করেছে কিরণ নামের একজনকে, অথচ ছবি ছাপানো হয়েছে মিল্টন মাহমুদ নামের আরেকজনের। তিনি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ও পৌর এলাকার নয়াডাঙ্গী মহল্লার মো: আলতাফ হোসেনের ছেলে।
রোববার (১০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিংগাইর-মানিকনগর সড়কের নয়াডাঙ্গী কাঁচামালের আড়ত অফিসে গণমাধ্যমে নিরপরাধ ছাত্রদল নেতার ছবি ছাপানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মিল্টন মাহমুদ ও তার পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে মিল্টন মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ আগস্ট জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, যায় যায় দিন ও ঢাকা পোস্টের অনলাইন পোর্টালসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেখানে কিরণ নামের একজনকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতারকৃত ছবির স্থলে আমার ছবি প্রকাশ করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমার বিরুদ্ধে এটা গভীর ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে দল থেকে মাইনাস করার লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামি কিরণের স্থলে আমার ছবিটি ছাপানোর কাজে সহযোগিতা করেছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে যাচাই-বাছাই না করে এভাবে একজনের স্থলে আরেকজনের ছবি ব্যবহার করায় আমি মর্মাহত। অন্যায়ভাবে আমার ছবি ছাপানোর দায়ে উক্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোকে দ্রুত ক্ষমা চেয়ে ফলোআপ সংবাদ প্রকাশ না করলে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব।’
তার বড় ভাই সাবেক পৌর কাউন্সিলর আকরাম হোসেনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কাজী আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক ও কাউন্সিলর নুরে আলম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হৃদয়, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব হৃদয় আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান (তুহিন), কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন আনছারী ছাড়াও তার পরিবার, স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।