ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওসমানীনগরে বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় নাজমুল ইসলাম (৩২) নামে এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন। এদিকে নিহতের ঘটনায় ওই বাসটিকে আটকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ইলাশপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুল ইসলাম উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বড় ইশবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
এদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরশ আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মহাসড়কে ঢাকা এক্সপ্রেস নামের সিলেটগামী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে চাপা দিলে মোটরসাইকেলচালক নাজমুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এদিকে দুর্ঘটনায় বাসটি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে কিছুদূর টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলে স্থানীয় জনতা তাজপুর বাজার এলাকায় ঘাতক বাসটিকে আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুনে বাসের ভেতর পুড়ে যায়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অপু মিয়া বলেন, মহাসড়কে একটি বাসে আগুন লেগেছে জেনে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করি। কিন্তু বাসটির পুরো ভেতর পুড়ে গেছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত আরেকজনকে হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ শেরপুর হাইওয়ে থানায় আছে। পরিবারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসমানীনগর থানার ওসি মো: মোনায়েম মিয়া বলেন, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন বাসে আগুন দিলে মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



