খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলা এবং দু’টি হামলা ও দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলা। মামলাগুলোতে অজ্ঞাতনামা সহশ্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাঙচুর, দাঙ্গা সৃষ্টি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৬০০ থেকে ৭০০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, গুইমারা থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি হত্যা এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা হয়। এতে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমানে উপজেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে গত বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে এবং খাগড়াছড়ির সার্বিক পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার হাটের দিনে সকাল থেকেই বাজারে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজন স্বাভাবিকভাবে আসতে শুরু করেছেন। জেলার সব সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, দোকানপাটও খোলা রয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।