কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাৎ ও হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন

‘ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়টি সরাসরি পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাথে যোগাযোগ করলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Patuakhali
কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাৎ ও হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন
কলাপাড়ায় ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাৎ ও হয়রানির অভিযোগে মানববন্ধন |নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাৎ, দালালি, চাঁদাবাজি, ভুয়া মামলা এবং সরকারি নথিপত্র জালিয়াতির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে চান্দুপাড়া আবাসন এলাকায় এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মোসা: মনিরা বেগম, তার ছেলে মো: এনামুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: দুলাল তালুকদার, আবুল সালাম হাওলাদার, আফজাল হোসেন, মজিবুর হাওলাদার প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা শাহাদাত তালুকদার ও মোস্তাফিজুর রহমান নানা কৌশলে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের পাশাপাশি, ভুয়া মামলা ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তারা।

ভুক্তভোগী মজিবুর হাওলাদার বলেন, ‘সরকারি রেটে অধিগ্রহণকৃত জমির সাড়ে ১৩ লাখ টাকার বিপরীতে আমি মাত্র দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছি। বাকি টাকা শাহাদাত ও মোস্তাফিজুর রহমান কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন।’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

অভিযুক্ত মো: শাহাদাত তালুকদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি তাদের হয়ে মামলা পরিচালনা করেছি। মামলা চালাতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। সেই খরচের টাকা চাইতে গেলে উল্টো তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কলাপাড়া, পটুয়াখালী, মো. ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়টি সরাসরি পটুয়াখালী ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সাথে যোগাযোগ করলে দ্রুত সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’