অভাব সইতে না পেরে মা-মেয়ের আত্মহত্যা

ঋণের বোঝা ও অভাবের তাড়নায় অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নমিতা। বুধবার সকালে বিষপান করেন মা-মেয়ে দু’জনই।

বুড়িচং (কুমিল্লা) সংবাদদাতা

Location :

Cumilla
নয়া দিগন্ত

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে অভাব, ঋণ ও দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সইতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন মা ও মেয়ে।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তাদের নিজবাড়িতেই এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পরলোকগত জীবন চন্দ্র পালের স্ত্রী নমিতা রাণি পাল (৪২) ও তার মেয়ে তন্বী রাণি পাল (১৮)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নমিতা রাণি পালের তিন মেয়ে ছিল। এরমধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন নমিতা রাণি। তিনি স্থানীয় দেবপুর স্পিনিং মিলে চাকরি করতেন। তবে গত দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকায় কাজে যেতে পারেননি তিনি। এতে পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে তার জন্য। এদিকে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে চরম মানসিক চাপে পড়েন নমিতা।

ঋণের বোঝা ও অভাবের তাড়নায় অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নমিতা। বুধবার সকালে বিষপান করেন মা-মেয়ে দু’জনই। পরে প্রতিবেশীরা দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল্লাহ প্রধান বলেন, খবর পেয়ে বেলা আড়াইটায় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে ঋণগ্রস্ত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অভাব, ঋণ ও অসুস্থতার কারণেই মা-মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।